টাইমস বাংলা নিউজডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জমির নথি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যাতে সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার বিশেষ নিয়ম চালু করেছে। এতদিন জমির পরচা না থাকার জন্য বহু কৃষক ঝড়ে ফসল হারালেও ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারছিলেন না। সেকারণে নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। এখন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নামে যদি জমির দলিল বা পরচা না থেকে যদি তার পূর্বপুরুষের নামে থাকে তবে পঞ্চায়েতের দেওয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষক ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাতে পারবেন।ভাগচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই জটিলতা মেটাতে স্থির করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে চাষ করা কৃষককেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। চুক্তির ভিত্তিতে পুরদস্তুর অন্যকে চাষ করতে দেওয়া জমির মালিক ক্ষতিপুরণ পাবেন না।
গত বছর নভেম্বরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল রাজ্যে আছড়ে পড়ার পরে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ দপ্তর এই খাতে মোট ১,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকা বিলি করা সম্ভব হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর। ‘ক্রপ রিহ্যাবিলিটেশন রিলিফ’-এ বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রতি হেক্টরে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রাজ্য। সর্বোচ্চ দু’একর জমির ক্ষতিপূরণ মিলবে। অর্থাৎ, একজন চাষি সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। জমির পরিমাণ কম হলেও ন্যূনতম এক হাজার টাকা মিলবে। নবান্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুলবুলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য এ পর্যন্ত মোট ২৫ লক্ষ ৫৮ হাজার কৃষক ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেয়েছেন ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার কৃষক। বাকিরা দ্রুত ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে কৃষি দপ্তরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।