টাইমস বাংলা নিউজডেস্ক : শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক জনসভায় গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেখানে এদিন তিনি বলেন, ‘ইন্দিরাজির তুলনায় আমি কিছুই নই। কিন্তু তাঁর হৃদয়ে যে দেশসেবার আদর্শ ছিল, তা আমার ও আমার দাদার হৃদয়েও আছে।‘ এদিন কানপুরে কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীপ্রকাশ জয়সোয়ালের হয়ে প্রচার করতে যান প্রিয়ঙ্কা। সেখানে বলেন, আমি ইন্দিরাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলব। আমার মন থেকে সেই আদর্শ কোনও দিন মুছে যাবে না।কানপুরে জনসভা বাদে রোড শো-ও করেন প্রিয়ঙ্কা। বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা কেবল নিজেদের উন্নতি চায়। দেশের উন্নতি নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাঁর কথায়, সরকার হয় দু’রকমের। একরকম সরকার নিজের উন্নতি নিয়ে মাথা ঘামায়। আর একরকম সরকার মাথা ঘামায় দেশের উন্নতি নিয়ে। বিজেপি সরকার কেবল নিজের প্রচার চায়। সব কিছুতেই নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করে।পাশাপাশি, তিনি সেনাবাহিনীতে ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন কি সেনাবাহিনীর অধিকার? নাকি তাদের প্রতি দয়া করে ওই সুবিধা দেওয়া হয়েছে? সরকার দাবি করছে, তারা সেনাবাহিনীকে একটি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। এটা কেমন মানসিকতার পরিচয়? তিনি বলেন, শাসক বিজেপি বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও কানপুরের কোনও উন্নয়ন করেনি। তাঁর কথায়, বিজেপি বলেছিল, কানপুরকে স্মার্ট সিটিতে পরিণত করবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না। কৃষকরা ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করছেন।কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, যাঁদের পকেটে টাকা ভর্তি, তাঁদের উন্নতির জন্য তাঁর দল ভাবে না। তাঁর দল সাধারণ মানুষের উন্নতির কথা ভাবে। তাঁর কথায়, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ক্ষমতায় এলে গরিব পরিবারগুলির জন্য বছরে ৭২ হাজার টাকা করে আয়ের ব্যবস্থা করে দেব। বিজেপি বলছে, ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার মতো টাকা নেই। কিন্তু তারা মনে করে, শিল্পপতিদের দেওয়ার মতো যথেষ্ট টাকা সরকারের আছে।
সেই সঙ্গে নোটবন্দি আর জিএসটি নিয়েও প্রিয়ঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ওই দু’টি পদক্ষেপই সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্দশা ডেকে এনেছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে প্রিয়ঙ্কা বলেন, উনি একজন দুর্বল নেতা। মানুষের ক্ষোভের কথা শুনতে পারেন না।